রক্তনালীর রোগ ও ভাসকুলার কেয়ার সেন্টার
সমস্ত শরীরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে রক্তনালী। হার্ট, লিভার কিংবা কিডনির মতো রক্তনালীতেও বিভিন্ন রোগ তৈরী হয়। সঠিক চিকিৎসায় এ রোগগুলো ভালো হয়ে যায়। সময়মত চিকিৎসা না নিলে ঘটতে পারে অঙ্গহানির মতো ভয়ানক কিছু।
রক্তনালীর পরিচিত সমস্যাসমুহঃ
হার্টের মতো হাত ও পায়ের রক্তনালী ব্লক বা বন্ধ হয়ে যাওয়া । এক্ষেত্রে রক্তনালীতে রিং লাগানো বা স্টেন্টিং করানো হয়। প্রয়োজন হতে পারে হাত কিংবা পায়ের রক্তনালীর বাইপাস অপারেশন।
দূর্ঘটনাজনিত কারণে রক্তনালী ছিঁড়ে বা কেটে যাওয়া । এক্ষেত্রে দ্রুত অপারেশন করে রক্তনালী জোড়া না লাগালো চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হঠাৎ হাত-পা ঠান্ডা হওয়াজনিত রোগে (এমবোলিজম) । এক্ষেত্রে রক্তনালীর ব্লক জরুরী ভিত্তিতে অপসারণ করা না হলে অঙ্গহানি হতে পারে।
আঁকাবাঁকা রক্তনালী বা ভ্যারিকোস ভেইন। এটা খুব কমন একটা রোগ। এ রোগে অপারেশন না করালে কিংবা বেশি বিলম্ব করলে আলসার, রক্তপাত সহ নানা জটিলতা হতে পারে।
রক্তনালীর যেকোন টিউমার অপসারণ।
গ্যাংরিন বা পঁচন রোগের জরুরী চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী পায়ের ঘা বা নন হিলিং আলসার। অনেকের দীর্ঘদিন ধরে আলসার থাকতে পারে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেকে খুবই কষ্ট করেন। অথচ একজন ভাকুলার সার্জন সহজেই এর সমাধান করে দিতে পারেন।
অতিরিক্ত রিব বা সারভাইকাল রিব অপসারন । গলায় বাড়তি হাড় থাকতে পারে। তখন হাত ঝিম ঝিম করা থেকে শুরু করে নানা সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে অপারেশন করে বাড়তি হাড় ফেলে দিতে হয়। হাড়ের চারপাশে রক্তনালী থাকে বিধায় একজন ভাসকুলার সার্জন সহজে অপারেশন করতে পারেন।
হাত-পা কিংবা ঘাড়ের রক্তনালীর অ্যানজিওগ্রাম। এসব জায়গার রক্তনালীর ব্লক আজে কিনা তা জানতে অ্যানজ্রিগ্রাম পরীক্ষা করা যায়।
স্থানীয়ভাবে স্ফিত রক্তনালী বা এ্যানিউরিজম
শিরা ব্লক হওয়া বা ডিপ ভেইন থ্রোম্বসিস। ধমনীর মতো শিরায় ব্লক হতে পারে। বিশেষ করে কেউ দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী হয়ে থাকলে ্তার ্এ রোগ হতে পারে।
শিরা বা ধমনীর ত্র“টিযুক্ত সংযোগ বা এভিএম
|